নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ক্রমাগত তাপপ্রবাহের ফলে দেশের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাঘাত ঘটছে। উত্তাপে ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। এমন চরম আবহাওয়ায় প্রভাব পড়েছে ঈদের বাজারেও। রাজধানীসহ সারাদেশের ঈদের বাজারে দেখা যাচ্ছে ক্রেতা সংকট। বুধবারের (১২ এপ্রিল) আবহাওয়া বার্তায় জানা গেছে, সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে যা আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে গরমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দিনমজুর ও সুবিধাবঞ্চিতরা। কারণ এ গরমেও যে কোনও মূল্যে তাদের পরিবারের জন্য রুটি-রুজির ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রাকে মাঝারি এবং ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগের ১৩টি, রাজশাহী বিভাগের ৮টি, খুলনা বিভাগের ১০টি, বরিশাল বিভাগের ৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি, সিলেট বিভাগের ৪টি ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি জেলাসহ মোট ৫৭টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। মনোয়ার হোসেন জানান, ১৭ই এপ্রিলের পর দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। পরে ২৫ এপ্রিলের পর সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে এবং তাপমাত্রাও কিছুটা কমতে পারে।আবহাওয়া সতর্কবার্তা থেকে জানা যায়, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ফরিদপুরে ৩৯.৩, মোংলায় ৩৯.৫, যশোরে ৩৯.৪, ঈশ্বরদীতে ৩৯.৩, ফরিদপুর ও খুলনায় ৩৯.০ রাজশাহীতে ৩৯.১, ঢাকায় ৩৮.৯, কুমারখালিতে ৩৮.৬, বান্দরবনে ৩৮.৪, সাতক্ষীরায় ৩৮.৩, টাঙ্গাইল, ফেনী ও রাঙ্গামাটিতে ৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।