আত্রাাই উপজেলা প্রতিনিধি :
নওগাঁর আত্রাইয়ে ফরিদ উদ্দীন (৫৫) নামে একজনের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে থানায় এই মামলা দায়ের করেন ফরিদ উদ্দীনের স্ত্রী জাহেরা বিবি। থানাপুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ফরিদ উদ্দীন উপজেলার সদুপুর গ্রামের মৃত বছির উদ্দীনের ছেলে।ফরিদ উদ্দীনের জামাই জামিল হোসেন বলেন,শ্যালোক জাকির হোসেন একই গ্রামের মান্নান খানের ছেলে ওবায়দুল আজম খানের দোকানে প্রায় ১০/১২ বছর ধরে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করে আসছিল। এরই মধ্যে গত ৪মার্চ দোকান থেকে চাকরি ছেরে দেয়। এসময় দোকান মালিক ওবায়দুল খান জাকিরের নিকট থেকে হিসাবের গড়মিলসহ বিভিন্ন কারনে প্রায় ৫লক্ষ টাকা পাবে মর্মে দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন বসে আগামী ছয় মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করবে এমন চুক্তির ভিত্তিতে আপোষ করে দেয়। কিন্তু তার পরেও হঠা’ করেই দোকান মালিক ওবায়দুল সোমবার সন্ধ্যায় শ্বশুর ফরিদ উদ্দীনের বাড়ীতে গিয়ে টাকার চাপ প্রয়োগ করে। এর পর মঙ্গলবার সকালে আবারো ফরিদ উদ্দীনের বাড়ীতে গিয়ে বেশ কিছু লোকজন নিয়ে টাকার চাপ প্রয়োগ করে ওবায়দুল। এসময় ওবায়দুল ফরিদ উদ্দীনকে ‘চোরের বাপ‘ বলে গালিগালাজ করে এবং তুই মরলেই তোর ছেলে বাড়ী বিক্রি করে আমার টাকা পরিশোধ করবে“ এমন অপমানজনক বিভিন্ন কথা-বার্তা ও গালিগালাজ করে চলে যায়। জামাই জামিল হোসেন আরো বলেন,এমন অপমানজনক কথা সহ্য করতে না পেরে দুপুরে শ্বশুর ফরিদ উদ্দীন গ্যাস ট্যাবলেট খায় । পরে লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে আত্রাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে চিকি’সকরা রাজাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে স্থানান্তর করে। তাকে রাজশাহী নিয়ে যাবার সময় বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ মারা যায়। এঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে শ্বাশুরি ফরিদের স্ত্রী জাহেরা বিবি বাদী হয়ে দোকান মালিক ওবায়দুলহক সহ ৪জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো২/৩জনকে আসামী করে মঙ্গলবার রাতে আত্রাই থানায় মামলা দায়ের করেছেন।আত্রাই থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার বলেন,আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ফরিদ উদ্দীনের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই ফরিদের মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।