মোঃ মনিরুল ইসলা, বরগুন জেলা প্রতিনিধি :
আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে পূর্ণ নির্বাচন উপলক্ষে নৌকা প্রতীকের এক সভার ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস ছালাম মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী নিজেও যদি আমতলী কোন প্রোগ্রাম করেন তাহলে আমতলীর মেয়রের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়” গত ২৮ ফেব্রুয়ারী তার দেওয়া এমন বক্তব্যের ৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে।তার এমন বানোয়াট এবং প্রধানমন্ত্রী কে হেও করে দেয়া বক্তব্যের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ২০০৬ এর ৫৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন ঘটখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আলতাফ হাওলাদার।মামলার বিবরনে বলা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচন উপলক্ষে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে নৌকা প্রতীকের এক সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমতলীতে আসেন এবং প্রোগ্রাম করেন, তাহলে আমতলীর যিনি মেয়র তান কাছ থেকে তিনি পারমিশন নেন ওই তারিখের। এটা আপনারা জানেন কি-না জানি না। ওই তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সভা হলে তার (মেয়র) কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। তারপর প্রোগ্রাম সিলেক্ট হয়।’এ সময সভায় উপস্থিত ছিলেন, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য নাশির মোল্লা ও মতিয়ার রহমান হাওলাদারসহ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী।মামলার বাদি ইউনিয়ন আওয়ামী নেতা আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন,আমরা মজিব আদর্শে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনাকে হেও করে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাই এবং সালাম মোল্লাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানাই।অভিযুক্ত আব্দুস ছালাম মোল্লার সাথে এ প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দকে বোঝানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর উদাহারন টেনেছি হয়ত বলতে গিয়ে ভুল হতে পারে।এ প্রসঙ্গে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, নৌকা প্রতীকের সভায় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বক্তব্যে দলের চেইন অব কমান্ড বুঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রোগ্রাম করতে হলে পৌর মেয়রের অনুমিত লাগবে এটা কেমন কথা! পুরো ভিডিও শুনলে বোঝা যেত তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন।আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান বলেন, এত বড় ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য তিনি কেন দিয়েছেন তা জানা নেই। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মানুষ ফোন দিয়ে নিন্দা জানাচ্ছেন। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগকে জানানো হয়েছে তারা যে পদক্ষেপ নিতে বলবেন সেই অনুসারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন,মামলা হয়েছে আমি শুনেছি এবং সালাম মোল্লা আমতলীর মেয়র মতিয়ার রহমান কে খুশি করার জন্য অতি উৎসাহী হয়ে প্রধানমন্ত্রী কে এমন বক্তব্য দিয়েছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে আমরা উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে বসে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।