মোঃ তোফাজ্জল হোসেন স্টাফ রিপোর্টার
নওগাঁর পোরশা উপজেলার জালুয়া গ্রামের আঃরাজ্জাকের ছেলে রইচ উদ্দীন। তিনি ওই উপজেলার সোমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবত সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। অথচ সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে সাংবাদিকতা পেশায়ও জড়িত। যে বিষয়টি এ পেশার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিস লিখিত অভিযোগ করলে একটি সূত্র জানান তদন্ত চলমান আছে।জানা যায়, নওগাঁর পোরশা উপজেলার সোমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাংলা ও ইংরেজী দু’টি দৈনিক পত্রিকায় কাজ করে আসছেন। একদিকে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা অন্যদিকে সাংবাদিকতাও করে আসছেন। যে বিষয়টি সরকারি আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ১৭নং ধারায় সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে কোন সরকারি কর্মচারী সরকারের অনুমোদন ছাড়া সরকারি কাজ ছাড়া অন্য কোন ব্যবসায় জড়িত হতে পারবেন না। পাশাপাশি অন্য কোন চাকরি বা কাজ করতে পারবেন না।পোরশা উপজেলা সাংবাদিকেরা জানান, রইচ উদ্দীন সরকারি চাকরীর পাশাপাশি সাংবাদিকতা করা একদিকে যেমন সাংঘর্ষিক, অন্যাদিকে সে সাংবাদিকতার নামে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে থাকেন।এ ব্যাপারে রইস উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আমি সরকারি প্রাইমারী স্কুলে চাকরি হওয়ার পরে আর সাংবাদিকতা করি না।অপরদিকে রইচ উদ্দীন যে পত্রিকায় বর্তমানে কাজ করছেন সেই পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জানান,রইচ উদ্দীন এখনও পোরশা উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত আছেন।